ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি লজ্জিত স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক ::

জার্মানভিত্তিক একটি গবেষণায় ‘একনায়কতন্ত্রের’ তালিকায় বাংলাদেশের নাম যুক্ত হওয়ায় লজ্জাবোধ করছে বিএনপি। প্রায় ১১ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা এত দিন ধরে যে কথাগুলো বলছিলাম, আজকে তা বিশ্বে স্বীকৃত হয়েছে। এই গবেষণার মধ্য দিয়ে আমাদের বক্তব্যের প্রতিফলন হয়েছে।’ গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। এর আগে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জার্মান একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতে বিবিসি অনলাইন একটি নিউজ ছাপিয়েছে, যেটা আজ (গতকাল) সব পত্রিকায় এসেছে। পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নের দিকের পাঁচটি দেশের অন্যতম একটি। যেখানে গণতন্ত্র বিদায় নিয়েছে এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই গবেষণায় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যারা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তারা অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছি এবং আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি। সরকার স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে বাংলাদেশকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। বিশ্বের ১২৯টি দেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জার্মান সংস্থা ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’র করা ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশের ঢোকার খবরটি শুক্রবার প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা।

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মতামত শুনতে জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে ৩৭টি দল গঠন করেছে বিএনপি। তারা ২০ এপ্রিলের মধ্যে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা সফর করবেন। ফখরুল বলেন, এই রাজনৈতিক সফরসূচির উদ্দেশ্য শুধু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও সামনে কী করণীয় আছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে : আগামী ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হবে বলে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল জানান। বিএনপির অনুমতি না পাওয়ার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সভা করার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আজ (গতকাল) ২৪ মার্চ, গণতন্ত্র হত্যা দিবস। এদিনে এরশাদ একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে জোর করে মতা দখল করেছিল। সেই ব্যক্তির দল এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করছে। অন্যদিকে যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল, সেই বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’

আগে কয়েক দফা দিন তারিখ ঘোষণা করেও অনুমতি না পাওয়ার পর এখন ২৯ মার্চ জনসভা করতে চাইছে বিএনপি। ফখরুল বলেন, ২৯ তারিখ জনসভা করার জন্য চেয়েছি। আমরা সব প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আমরা একটি চিঠি পাঠাচ্ছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরকতউলহ্মাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, রুহুল কবির রিজভী।

পাঠকের মতামত: